প্রচ্ছদ > রাজনীতি > বিএনপি

রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরকে স্বৈরাচারের ও দোসরমুক্ত করতে হবে: রিজভী

article-img

রাষ্ট্রেকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে ,  যারা মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা করছে, তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরকে স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী আরও বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কেউ ধ্বংস করতে না পারে। গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও লক্ষ্য সুসংহত করতে হলে পতিত গণবিরোধী শক্তিকে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।

রিজভী আরও বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কেউ ধ্বংস করতে না পারে। গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও লক্ষ্য সুসংহত করতে হলে পতিত গণবিরোধী শক্তিকে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার দুনিয়া কাঁপানো অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মুখে গণহত্যাকারী ‘বাংলাদেশের লেডি দানব’ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটেছে। অবৈধ ক্ষমতার হুমকি আর বারুদের মুখোমুখি হয়ে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সহস্রাধিক মানুষের তাজা প্রাণ ও কয়েক হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এখন সুযোগ এসেছে দেশে জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনপ্রত্যাশা পূরণের জন্য অতীতের সব জঞ্জালমুক্ত একটি বৈষম্যহীন নিরাপদ এবং মানবিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার।

তিনি বলেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত, লাঞ্ছিত-বঞ্চিত অধিকারহারা মানুষ একটি স্বাধীন, নিরাপদ এবং মর্যাদাকর জীবনের প্রত্যাশায় উন্মুখ হয়ে রয়েছেন। ফ্যাসিবাদী হাসিনার ভয়ঙ্কর দুঃশাসনের যবনিকা ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গত ১৬ বছর ধরে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী মানুষ নিরন্তর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছিল। এই আন্দোলন করতে গিয়ে-অসংখ্য মানুষ গুম-খুন, জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, উৎপীড়ন, অমানবিক অত্যাচার বর্বরতার নির্মম শিকার হয়েছেন। অপহৃত হয়েছেন। অনেকে চিরতরে পঙ্গু ও অন্ধ হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টিদেশ ভারতে পালিয়েছেন। পলাতক হাসিনা ও তার অবিরাম ‘ননসেন্স কথা বলা অপরাজেয় পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়’ বিদেশে থেকে এখনো দেশে ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলার উস্কানি দিচ্ছেন।

রিজভী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের ধারাবাহিক এক্সটেনসন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতো বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নেতাদের নামে বহু কাল্পনিক মামলা আবিষ্কার করে, তাতে গণভবনের রায় পাঠ করে সাজা দেয়া হয়েছে। কাজল এবং খুরশিদরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যাঙ্গারু আদালতে প্রকাশ্যে অপমানজনক কথা বলতেন। হুমকি দিতেন। তারেক রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আজকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থার জন্য দায়ী পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল ও দুদকের আওয়ামী লীগের দালাল প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এই সাবেক ছাত্রলীগের ক্যাডার ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দেশনেত্রীকে বছর পর বছর কারাগারের স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বিনা চিকিৎসায় আবদ্ধ রেখেছিলেন। কাজল-খুরশিদ দুর্বৃত্ত চক্র তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফরমায়েশী সাজা দিয়েছে। এই দুর্বৃত্তচক্র বিএনপিসহ বিরেধী দল-মতের বহু মানুষের জীবন তছনছ করে দিয়েছে। দুদকের মতো একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হাসিনা কাজল-খুরশিদ গংয়ের মতো ছাত্রলীগের ক্যাডার দিয়ে সম্পূর্ণভাবে লীগের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিল। মোশাররফ হোসেন কাজল ছিলেন ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। অবিলম্বে আমরা কাজল-খুরশিদ দুর্বৃত্তচক্রকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।